Sunday, July 13, 2025

আমাকে ভাঙতে চাইলে, আরও শক্ত হয়ে যাই’ : আজমেরী হক বাঁধনের সাহসী বার্তা


ঢাকা, ১৩ জুলাই: সাহসী মনোভাব ও স্বাধীনচেতা ব্যক্তিত্বের জন্য সবসময় আলোচনায় থাকা অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন সম্প্রতি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছেন। রোববার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় দেওয়া এই স্ট্যাটাসে তিনি নিজের একটি ছবির সঙ্গে লিখেছেন, “আমাকে ভাঙতে চাইলে, আরও শক্ত হয়ে যাই।” এই স্ট্যাটাসে তিনি তার জীবনদর্শন ও স্বাধীনতার প্রতি অটল অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেছেন, যা বিতর্কের মুখেও তাকে দমাতে পারেনি।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরব থাকা বাঁধন আওয়ামী সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সবসময় কথা বলেছেন। তবে সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমের সমালোচনা করায় তিনি নতুন করে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন। এরই জবাবে তার এই স্ট্যাটাস যেন তার অটুট মানসিক শক্তির প্রকাশ। বাঁধন তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, তিনি একজন আবেগপ্রবণ মানুষ। জীবনে অনেক কিছু অর্জন করলেও তার সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো নিজের মতো করে বাঁচার এবং সৎভাবে কথা বলার ক্ষমতা। তিনি বলেন, “আমার জীবন, কীভাবে বাঁচব, কী করব তা আমিই ঠিক করব।” অভিনেত্রী আরও জানান, জীবনে অনেকবার এমন সুযোগ এসেছিল, যা তাকে ক্ষমতা, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা বা স্থিতিশীলতা দিতে পারত। কিন্তু তিনি বেছে নিয়েছেন স্বাধীনতাকে। তিনি লিখেছেন, “যখন আপনি সত্যিকারের স্বাধীনতার স্বাদ পান, তখন আর ফেরা সম্ভব হয় না।” তিনি উল্লেখ করেন, এই স্বাধীনতার কারণেই কিছু মানুষ তাকে ঘৃণা করে, কারণ তিনি কাউকে তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে দেন না। বাঁধন স্বীকার করেছেন, তার এই পথ সহজ ছিল না। তবে এই চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই তিনি শিখেছেন, “কেউ আমাকে ভাঙতে চাইলে, আমি আরও শক্ত হয়ে যাই—কংক্রিটের মতো।” তিনি এটাকে তার শক্তি বা ত্রুটি কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রেখেছেন, তবে জীবন তাকে এই শিক্ষাই দিয়েছে। স্ট্যাটাসে বাঁধন তার ব্যক্তিগত ট্রমা ও PTSD-এর কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, ছোট ছোট ঘটনাও মাঝে মাঝে তার ট্রমাকে ট্রিগার করে। তবে এই অবাঞ্ছিত সঙ্গী নিয়েও তিনি বাঁচতে শিখেছেন। আজমেরী হক বাঁধনের এই স্ট্যাটাস তার সাহস, স্বাধীনতা ও অটল মানসিকতার প্রতিফলন। তার এই বার্তা সামাজিক মাধ্যমে ইতিমধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.