Thursday, July 17, 2025

বন্ধুরা ভাত খেতে চায়, আমি নুডলসে দিন পার করি: তটিনী

ছোট পর্দার জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী তানজিম সাইয়ারা তটিনী অভিনয়ের পাশাপাশি ভ্রমণপ্রিয় জীবনধারার জন্যও পরিচিত। ২০১৯ সালে মডেলিংয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করে তিনি চরকির ওয়েব ধারাবাহিক ‘কল্পনা’য় অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের নজর কাড়েন। টিভি নাটকের জন্য স্বল্পদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্রে সেরা অভিনেত্রী বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কারও জিতেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তটিনী তার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা ও জীবনধারার কথা তুলে ধরেছেন।

তটিনী বলেন, “ঘোরার জন্য প্রথমবার কাশ্মীর গিয়েছিলাম। প্রকৃতি যেন সেখানে সবকিছু নিজ হাতে সাজিয়েছে। পেহেলগাম, দার্জিলিংয়ের সৌন্দর্যও আমাকে টানে।” তিনি জানান, নেপালে তিনবার এবং ভারতে বেশ কয়েকবার ভ্রমণ করেছেন। বিশেষ করে করোনার পর ভারতে বেশি গেছেন। তিনি বলেন, “দার্জিলিংয়ে বন্ধুদের সঙ্গে গ্রুপ ট্যুর ছিল আমার সবচেয়ে আনন্দদায়ক ভ্রমণ। সেসব দিন মনে পড়লে স্মৃতিকাতর হয়ে যাই।”

নেপালের কাঠমান্ডুর থামেল এলাকার প্রতি তার বিশেষ টান রয়েছে। তিনি বলেন, “থামেলের প্রতিটি রাস্তা আমার ভালো লাগে। সেখানকার রঙিন পরিবেশ আমাকে মুগ্ধ করে। ঘুরতে গেলে স্থানীয় খাবারের ওপর গুরুত্ব দিই।” সম্প্রতি বন্ধুদের সঙ্গে তিনি থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, “এবার থাইল্যান্ডের নিরিবিলি পরিবেশ উপভোগ করেছি। কোসামই ও আশপাশের দ্বীপগুলোতে সময় কাটিয়েছি। ফুকেটের ওল্ড টাউন এবং রোববারের বাজার আমার খুব পছন্দ। সেখানে ট্র্যাডিশনাল খাবার ও পণ্যের সমারোহ দেখতে ভালো লাগে।”

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে একদিন থাকলেও তিনি সেখানে বেশি ঘোরেননি। তিনি বলেন, “কুয়ালালামপুরে ভিড়ের কারণে আমার ভালো লাগে না। আমি নিরিবিলি জায়গা পছন্দ করি।” স্কুবা ডাইভিংয়ের ইচ্ছা থাকলেও সাঁতার না জানার কারণে তিনি তা করতে পারেননি। তটিনী জানান, শুটিংয়ের জন্য তিনি শুধু অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গিয়েছিলেন, বাকি সব ভ্রমণ ব্যক্তিগত। তিনি বলেন, “বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরলে আনন্দ দ্বিগুণ হয়। থাইল্যান্ডের মতো জায়গায় বন্ধুদের নিয়ে যাওয়াই ভালো।”

খাবার প্রসঙ্গে তটিনী হেসে বলেন, “আমার ভাত না খেলে সমস্যা হয় না। বন্ধুরা এক সপ্তাহ পরই ভাত খেতে চায়, কিন্তু আমি নুডলস খেয়ে আরামে দিন পার করতে পারি।” দেশের মধ্যে চট্টগ্রাম, সিলেট ও সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকা তার প্রিয় ভ্রমণ গন্তব্য। তিনি বলেন, “দেশেও ঘুরে অনেক আনন্দ পাই। বিশেষ করে সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকায় গেলে অন্যরকম প্রশান্তি মেলে।”

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.