Saturday, July 19, 2025

অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা নিখোঁজ, লাক্স তারকা প্রসূন আজাদের আকুতি

লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার খ্যাত অভিনেত্রী প্রসূন আজাদের বাবা, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আজাদ হোসেন নিখোঁজ রয়েছেন। গত শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৪টা থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রসূন আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, “আমার আব্বুকে কেউ রাস্তায়, হাসপাতালে বা যেকোনো জায়গায় দেখলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। গতকাল বিকেল চারটা থেকে এখন পর্যন্ত কোনো খবর পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনও সঙ্গে নেয়নি।”

প্রসূন আজাদ ২০১২ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়ে শোবিজে পা রাখেন। তিনি একাধিক নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করেছেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালে তার অভিনীত ‘পদ্মাপুরাণ’ সিনেমা মুক্তি পায়। বর্তমানে দুই সন্তানের মা প্রসূন সংসারে মনোযোগী।

প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে কান্না জড়িত কণ্ঠে প্রসূন বলেন, “আমার বাসা টিকাটুলী, আম্মু-আব্বুর বাসা মালিবাগ। আব্বু দিনে ৫-৬ বার আমার সন্তানদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন। কথা না বলে তিনি থাকতেই পারেন না। কিন্তু গতকাল থেকে একটাও কল দেননি। বাসা থেকে বের হওয়ার পর তার কোনো খোঁজ নেই। রাস্তায় রাস্তায় খুঁজছি, কিন্তু কোথায় পাব আমার আব্বুকে, বুঝতে পারছি না।”

প্রসূন জানান, তার বাবা আজাদ হোসেনের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রয়েছে এবং কিছুদিন আগে তিনি স্ট্রোকের শিকার হয়েছিলেন। তিনি বলেন, “আব্বুর চা খাওয়ার অভ্যাস। এ নিয়ে বাসায় বকাঝকা হলে লুঙ্গি পরে বাসার নিচে চা খেতে যেতেন। আম্মু ভেবেছিলেন, হয়তো চা খেয়ে ফিরবেন। কিন্তু এখনো কোনো খবর নেই। আব্বুর মনে ৫০ বছর আগের কথাও পরিষ্কার থাকে। তিনি রাস্তা ভুলে যাওয়ার মতো মানুষ নন।”

প্রসূনের মা শাহানা বেগমও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা। গত মাস থেকে তিনি অবসরে রয়েছেন। প্রসূন জানান, “আমরা ভেবেছিলাম আব্বু ফিরে আসবেন। কিন্তু এখনো কোনো খোঁজ নেই। এখন থানায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

আজাদ হোসেনের কোনো বিরোধ বা শত্রু আছে কিনা জানতে চাইলে প্রসূন বলেন, “আব্বুর কারও সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। তিনি প্রাণখোলা ও পরোপকারী মানুষ। এমনকি গত কোরবানিতে তিনি একজন অসহায়কে নিজের টাকায় ঘর বানিয়ে দিয়েছেন। জানি না, আমার সেই আব্বু এখন কোথায়, কী করছেন?”

প্রসূন আজাদ সবার কাছে তার বাবার খোঁজ জানানোর আকুতি জানিয়েছেন।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.